Pending Backend verification মানে কি?

পাসপোর্ট আবেদন করার পরে পাসপোর্ট নির্দিষ্ট কিছু ভেরিফিকেশন প্রসেস পাড়ি দিয়ে তারপরে আপনার নিজের কাছে এসে পৌঁছায়। এরমধ্যে অন্যতম একটি হলো Pending Backend verification. Pending Backend verification মানে আসলে কি?

আপনি যদি পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করে নেন এবং চেক করে নেয়ার পরে Pending Backend verification মেসেজটি দেখতে পান, তাহলে এর দ্বারা আপনি কি বুঝবেন?

অর্থাৎ এই মেসেজটি দেখালে আপনাকে কি বুঝতে হবে? বা এর দ্বারা আপনার পাসপোর্ট বর্তমানে কোন অবস্থায় রয়েছে সেটা বুঝায়?

Pending Backend verification মেসেজটি কেন দেখায়? এই মেসেজটি কতদিন থাকবে? এখানে আটকে যাওয়ার কারণ কি হতে পারে? এবং এর দ্বারা আপনি কি বুঝবেন? সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিতে পারবেন।

Pending Backend verification মানে কি?

পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সাধারণত দুই ভাবে সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে থেকে একটি হল front-end ভেরিফিকেশন এবং অন্যটি হলো Backend ভেরিফিকেশন।

ফ্রন্ট এন্ড ভেরিফিকেশন এর অর্থ হল: পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন এর একটি প্রসেস যা সাধারণত সামনে থেকে পরিচালনা করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম একটি উদাহরণ হল: পুলিশ ভেরিফিকেশন।

এবং Pending Backend verification মানে হল: সার্ভার জনিত কিছু ভেরিফিকেশন। যা সাধারণত খালি চোখে দেখা যায় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

বিষয়টিকে আরও ভালোভাবে বোঝাতে হলে এটা বলতে হবে যে Passport Pending Backend verification হলো: সরকারের বিভিন্ন অনলাইনে ডাটাবেজ এ থাকা ঐ ব্যাক্তির অগোচরে ভেরিফিকেশন বা তথ্য যাচাই করা।

অর্থাৎ আপনার তথ্য প্রিন্ট হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন রকমের ইনফরমেশন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া হল, ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন এর একটি নমুনা।

যখন আপনার পাসপোর্ট ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন এর জন্য এই পর্যায়ে চলে যাবে, তখন আপনি নিম্নোক্ত মেসেজটি দেখতে পারবেন:

Enrolment Pending Backend Verification

Dear ----------, Your e-Passport application is pending for backend verification(Basic Checks Clearance or ABIS Checks Clearance) process in central system.

Passport Backend Verification কি ভাবে হয়?

পাসপোর্ট এর ভেরিফিকেশন বিভিন্ন ভাবে সম্পন্ন হয় এবং বিভিন্ন রকমের তথ্য সমন্বিত উপায়ে এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়।

সাধারণভাবে বেকেন্ড ভেরিফিকেশন যেভাবে সম্পন্ন হতে পারে তার একটি নমুনা নিচে তুলে ধরা হলো:

  • ই পাসপোর্ট আবেদন ফরমে দেওয়া তথ্য
  • আইরিশ কিংবা রেটিনা স্ক্যান।
  • আবেদন করার পরে আপনি যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েছিলেন, সেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট।
  • আপনার মুখের ছবি।
  • যদি আপনার পুরাতন পাসপোর্ট থেকে থাকে, তাহলে সেই সংক্রান্ত তথ্য।
  • আপনার স্বাক্ষর যাচাই।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা জন্ম নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করে থাকলে সেই সম্পর্কিত তথ্য যাচাই।

পাসপোর্ট ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন উপরে উল্লেখিত ধাপে পরিচালনা হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই সমস্ত তথ্য যাচাই করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে এই মেসেজটি চলে যায় এবং আপনার পাসপোর্ট প্রিন্ট করার জন্য তৈরি হয়ে যায়।

পাসপোর্ট বেকেন্ড ভেরিফিকেশন হতে কতদিন লাগে?

পাসপোর্ট ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন এর জন্য সর্বোচ্চ সময়সীমা হল ১/৩ কর্ম দিবস। এই সময়সীমার মধ্যে আপনার পাসপোর্ট ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন এর কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা।

এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখেন ভেরিফিকেশন হতে ৭ কর্মদিবস অব্দি লেগে যেতে পারে। তবে চিন্তার বিষয় তখনই হবে যখন ৭ কর্মদিবসের বেশি সময় লেগে যাবে।

অন্যতায়, এটি নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।

যে কারণে ব্যাকেন্ড ভেরিফিকেশন আটকে যেতে পারে

এরকম বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার কারণে আপনার এই ভেরিফিকেশন আটকে যেতে পারে কিংবা এই ভেরিফিকেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য এই বিষয়গুলো বাধা হতে পারে।

  • আপনার দেয়া কোন তত্ত্বের মধ্যে অমিল থাকলে এই ভেরিফিকেশন টি আটকে যেতে পারে।
  • আপনি যে পাসপোর্ট আবেদন করেছিলেন, সে পাসপোর্ট আবেদনের সাথে যথাযথ তথ্য না দিলে ভেরিফিকেশন আটকে যেতে পারে।
  • ব্যক্তির নামে বড়োসড়ো কোন মামলা থাকলে কিংবা কোন বড়োসড়ো মামলার আসামি হলে এই ভেরিফিকেশন আটকে যাবে।
  • পূর্বের পাসপোর্ট এ ভুল ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে, কোর্ট এফিডেফিট এর মাধ্যমে।
  • পাসপোর্ট আবেদনকারী ভুল করা বা সময়ের অভাবে কোন একটি ধাপ বাদ রেখে দিয়েছেন এমন হলে।
  • যেকোনো নতুন তথ্য যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু সেই তুলনায় তথ্যটির সাথে কোনরকমে ডকুমেন্ট সম্পৃক্ত করা হয়নি।
  • এছাড়াও পাসপোর্ট ফি সঠিকভাবে সরকারের কাছে না পৌছালে এই সমস্যায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • আপনার যদি পুর্বের mrp পাসপোর্ট থেকে থাকে এবং আপনি যদি এই পাসপোর্ট থাকার কথা গোপন করে নতুন পাসপোর্ট এর আবেদন করেন, তাহলে ভেরিফিকেশন প্রসেস সামনের দিকে এগোবে না।
  • নামের প্রথম অংশ অথবা বংশগত নামে ভুল হলে। পূর্বের পাসপোর্ট এ Mohammad পুর্ণ রুপে লেখা আছে, কিন্ত বর্তমানে NID তে সংক্ষিপ্ত ভাবে MD লেখা আছে।
  • MRP Passport থেকে ই পাসপোর্ট করেছেন, কিন্ত MRP তে ভুল ছিল যা সংশোধন করেছেন।
  • অন্য কোন ব্যক্তির সাথে আপনার ফিঙ্গার মুখের ছবি বা কোন তথ্য যদি মিলে যায়, তাহলে বেকেন্ডে এই সমস্যাটি আসতে পারে।

উপরে যে সমস্ত কারণ দেয়া হয়েছে সেই সমস্ত কারণে আপনার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন আটকে যেতে পারে।

3 thoughts on “Pending Backend verification মানে কি?”

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

one × 4 =

Scroll to Top