পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে – Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

আপনি যদি বিদেশে পাড়ি জমা চান, তাহলে আপনাকে বাধ্যতামূলক একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে নিতে হয়। যার মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা হয়েছে আপনার উপর কোন ফৌজদারী মামলা কিংবা এই সংক্রান্ত কোনো রকমের জটিলতা নাই।

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছেন যারা কিনা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আবেদন করাকে অনেক বেশি অসহনীয় মনে করেন কিংবা খুব বেশি কঠিন মনে করেন। তবে ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়।

আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য রয়েছে সেগুলো এখান থেকে জেনে নিতে পারেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আসলে কি?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হলো এমন একটি ডকুমেন্টস যার মাধ্যমে এটা প্রমাণ করা হয়েছে আপনি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কোন ফৌজদারি মামলার আসামি নন কিংবা আপনার উপর কোন রকমের মামলা নেই।

কারণ আপনি হয়তো এই সম্পর্কে জানতে পারেন যে, বাংলাদেশ পুলিশ, কোন রকমের অপরাধীকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের অনুমোদন দেয় না। অর্থাৎ অপরাধী হিসেবে যে কেউ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন করতে পারলেও সেটি অনুমোদন পাবেন না।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম

আপনি যদি খুব সহজে ঘরে বসে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করে নিতে চান তাহলে সেই কাজটি কিভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন? সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিচে থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে খুব সহজেই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে চান তাহলে এই কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করে নেয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করে নিতে পারেন।

ধাপ ১: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন

একদম সর্বপ্রথম ধাপ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অধিদপ্তরের যে ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখান থেকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে অর্থাৎ এখানে একটি অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।

এই কাজটি করার জন্য নিম্নলিখিত লিংকে ভিজিট করুন।

 

যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত লিংকে বিশেষ করবেন তখন নিম্নলিখিত স্ক্রিনশট এর মত একটি পেজ দেখতে পারবেন।যেখান থেকে আপনি আপনার নির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

এখানে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার নাম, মোবাইল নাম্বার, আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার সহ আরো যে সমস্ত তথ্যের কথা বলা হয়েছে সেগুলো দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।

এখানে যে সমস্ত তথ্য দিবেন সেগুলো অবশ্যই আপনার আইডি কার্ডের সাথে মিলিয়ে দিবেন।

সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে দেয়ার পরে একদম সর্বশেষে “Continue” বাটনের উপরে ক্লিক করে দিন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

যখনই আপনি এই সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে দিয়ে দেয়ার পরে এবং কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে দিবেন তখন আপনি আপনার ইমেইলের ইনবক্সে চলে যান।  তাহলে এখানে একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাবেন।

এবার এই কনফার্মেশন ইমেইলের উপরে ক্লিক করে একাউন্ট একটিভেট করে নিতে হবে।

যদি কোনো কারণে আপনার ইমেইলে কোনো রকমের মেইল না আসে তাহলে আপনি চাইলে মেসেজ করার মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স একাউন্ট একটিভেট করে নিতে পারবেন।

একাউন্ট একটিভেট করার জন্য: রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি যে নাম্বার দিয়েছেন, সেই নাম্বার থেকে ৫ মিনিটের মধ্যে “PCC AV 8415 ” and send it to “26969” এই পদ্ধতি তে ম্যাসজ পাঠালেই আপনার একাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে।

ধাপ ২- একাউন্টে লগইন করে নেয়া

যখনই আপনি রেজিস্ট্রেশন করে নেয়ার কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন, তখন রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনি যে সমস্ত তথ্য দিয়েছেন সেই তথ্য দেয়ার মাধ্যমে একাউন্টে লগইন করে নিতে পারবেন।

একাউন্টে সফলভাবে লগইন করে নেয়ার জন্য নিম্নলিখিত লিংকে ক্লিক করুন।

 

উপরে উল্লেখিত লিংকে ক্লিক করার পরে আপনার রেজিস্ট্রেশন এর সময় দেয়া মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে একাউন্টে লগইন করে নিন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

একাউন্টে লগইন করে নেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে আপনি এর পরবর্তী ধাপে চলে যেতে পারবেন।

ধাপ ৩- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন

যখনই আপনি লগইন করে নেয়ার কাজ ওভাবে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন, তখন আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার যে সমস্ত বিষয়াদি রয়েছে সেগুলো সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

অর্থাৎ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য এবার আপনি পুরোপুরিভাবে তৈরি।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার জন্য আপনি যে একাউন্টে লগইন করা রয়েছেন সেই একাউন্টের উপরের দিকে “Apply” নামের একটি বাটন দেখতে পারবেন। এই বাটনটির উপরে ক্লিক করে দিন।

যখনই আপনি এপ্লাই বাটনের উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনি আপনার যাবতীয় তথ্য দিয়ে বক্স ফিলআপ করে নেয়ার মতো অনেকগুলো বক্স দেখতে পারবেন। যেখানে তথ্য দিয়ে ইনফরমেশন বক্স করতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

এখানে থাকা প্রত্যেকটি বক্স কিভাবে ফিলাপ করবেন সেটি সম্পর্কিত তথ্য নিচে ভালোভাবে বর্ণনা করা হলো:

Purpose: আপনি কোন কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন করতে চান সেই সংক্রান্ত তথ্য এখান থেকে ফিলাপ করে নিন। আপনি যদি বিদেশে যাওয়ার জন্য এই কাজটি করতে চান তাহলে “Go Abroad” নির্বাচন করে তারপরে কোন দেশে আপনি যেতে চান সেটা নির্বাচন করে নিন।

Personal Information: এবার এখানে যে সমস্ত বক্স রয়েছে প্রত্যেকটি বক্সে আপনার পার্সোনাল যে সমস্ত ইনফরমেশন রয়েছে, প্রত্যেকটি ইনফরমেশন সঠিকভাবে বসিয়ে দিতে হবে।

PASSPORT NO: আপনি যে পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন সেই পাসপোর্ট এর নাম্বার যথাযথভাবে বসিয়ে দিতে হবে।

Issuing Country: আপনি যেই দেশ থেকে পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন, সেই দেশ এখন থেকে সিলেক্ট করে নিবেন। বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট করে থাকলে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে নিবেন।

Issue Date – কত সাল মাস কিংবা তারিখে আপনি এটি ইস্যু করেছেন, সেটি বসিয়ে দিন
(সাল > মাস> তারিখ এই ভাবে সিলেক্ট করবেন)

Issue Place – কোন জায়গা থেকে আপনি এটি শুরু করেছেন সেটি এখানে বসিয়ে দিন। উদাহরণস্বরূপ: আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস

Expiry Date- আপনার পাসপোর্ট কত সালে এক্সপায়ার্ড কিংবা আমি মেয়াদ শেষ হবে সেটি এখান থেকে বসিয়ে দিন৷ (সাল > মাস> তারিখ এই ভাবে সিলেক্ট করবেন)

Mobile No: আপনার ব্যবহৃত যে মোবাইল নাম্বার রয়েছে, সেটি এখানে বসিয়ে দিন।

Email: আপনার যদি ইমেইল এড্রেস থেকে থাকে তাহলে ইমেল এড্রেস এখানে বসিয়ে দিন। যদি না থাকে তাহলে এই বক্সে কোন কিছু লেখার দরকার নেই।

NID: এখানে আপনাকে আপনার আইডি কার্ডের নাম্বার বসিয়ে দিতে হবে।

Full Name: আপনার আইডি কার্ড অনুযায়ী যে পুরো নাম রয়েছে, সেটি এখানে বসে দিতে হবে।

Father’s / Husband Name: আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পিতা কিংবা আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন এবং একই সাথে বিবাহিত হয়ে থাকেন, স্বামীর নাম এখানে বসিয়ে দিতে হবে।

Relation- পুরুষ হলে Me এবং মহিলা হলে Ms

Mother’s Name: আইডি কার্ড অনুযায়ী আপনার মাতার নাম এখানে বসিয়ে দিতে হবে।

Date of Birth – আপনার জন্ম তারিখ ভালোভাবে লিখে দিতে হবে। (সাল > মাস> তারিখ এই ভাবে সিলেক্ট করবেন)

Salutation: আপনি যদি ছেলে হয়ে থাকেন, তাহলে Mr. এবং মেয়ে হয়ে থাকলে Mrs নির্বাচন করে নিন।

সব শেষে Photo অপশনে সর্বচ্চ ১৫০ কিলোবাইট সাইজের একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করবেন।

সব তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে নিচে Save & Next বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপ Personal Address এ যাবেন।

ধাপ -৪ পার্সোনাল অ্যাড্রেস দিয়ে বক্স ফিলাপ

এই ধাপে আপনার প্রয়োজনীয় যে সমস্ত ঠিকানা রয়েছে সে সমস্ত ঠিকানা যথাযথভাবে বসিয়ে দিতে হবে। এখানে থাকা প্রত্যেকটি তথ্য যথাযথভাবে ফিলাপ করে নেয়ার জন্য আপনার কাছে যে আইডি কার্ড রয়েছে সেই আইডি কার্ড অনুযায়ী যথাযথ তথ্য দিয়ে প্রত্যেকটি বক্স ফিলাপ করে নিন।

এখানে বিশেষভাবে একটি কথা বলে রাখা ভালো আর তা হলো: যদি স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয় এবং তা যদি পাসপোর্টে থাকে, তাহলো সেই অনুযায়ী বর্তমান ঠিকানাতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করাতে পারবেন। গ্রামের মানুষের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, তারা সে অনুযায়ী পূরণ করবেন।

ধাপ- ৫ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড দেয়া

এবার আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড দিতে হবে। এবং এই সমস্ত ডকুমেন্ট আপলোড দেওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডকুমেন্টগুলো স্ক্যান করে নেবেন এবং ডকুমেন্টের যে সাইজ রয়েছে সেটি ২০০ Kb ( কিলোবাইট) এর বেশি রাখা চলবে না।

তথ্য হিসেবে যে সমস্ত তথ্য এখানে আপলোড দিতে হবে সেগুলো সম্পর্কিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো :

Passport – পাসপোর্টের স্ক্যান কপি দেওয়া বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ বাধ্যতামূলকভাবে আপনাকে ডকুমেন্ট হিসেবে পাসপোর্ট এর স্ক্যান কপি দিতে হবে।

National ID – যদিও এই তথ্যটি না দিলেও হবে, তারপরও আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এখানে দিতে হবে।

Birth Certificate – জন্মসনদ না দিলে কোন সমস্যা নেই। আপনি ইচ্ছা করলে দিতে পারেন।

Ward Councillor Certificate – নাগরিক সনদ বা কাউন্সিলরের সনদ অবশ্যই দিবেন।

Others – যদি অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্ট দিতে চান, তবে এখানে দিবেন। অর্থাৎ আপনি যদি প্রয়োজন বোধ করেন তাহলে সেখানে অতিরিক্ত ডকুমেন্ট সম্পৃক্ত করে নিতে পারেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

যদি প্রত্যেকটি তথ্য যথাযথভাবে দিয়ে দিতে পারেন তাহলে এর পরবর্তী ধাপে চলে যাওয়ার জন্য “Save and continue” বাটনের উপরে ক্লিক করে দিন।

ধাপ ৬- আবেদন পুনরায় দেখা এবং নিশ্চিত করা

এই ধাপে আপনি এতক্ষণ অব্দি যত টি তথ্য দিয়েছেন প্রত্যেকটি তথ্য পুনরায় দেখা নেওয়ার মতো সুযোগ পাবেন। অবশ্যই তথ্যগুলো ভালোভাবে চার-পাঁচবার রিভিশন দিয়ে দিন এবং দেখে নিন আপনার দেয়া তথ্যের মধ্যে কোন রকমের ভুল রয়েছে।

প্রত্যেকটি তথ্য যথাযথভাবে রিভিশন দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে, এর পরবর্তীতে final submit বাটনের উপরে টিক চিহ্ন দিতে হবে এবং তারপরে একদম সর্বশেষে Confirm বাটনের উপরে ক্লিক করে আপনার আবেদন কনফার্ম করে নিতে হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

যখনই আপনি আপনার আবেদন কনফার্ম করে দিবেন তারপর পরবর্তীতে আপনি পেমেন্ট করে নেয়ার অপশনে চলে যেতে পারবেন।

ধাপ ৭ – এ চালানের মাধ্যমে ফি প্রদান করা

কনফার্ম বাটনের উপরে ক্লিক করে দেয়ার পরে আপনার সামনে দুইটি অপশন চলে আসবে অর্থাৎ আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন বা আপনি চাইলে অফলাইনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম, ১ নাম্বার অপশনের উপরে ক্লিক করতে হবে অর্থাৎ Please click here for pay your police clearance certificate now. অপশনের উপরে ক্লিক করে দিতে হবে।

যখনই আপনি প্রথম অপশনের উপরে ক্লিক করে দিবেন তখন আপনার সামনে পেমেন্ট গেটওয়ে অপেন হবে। এবং আপনি চাইলে এখান থেকে যে মাধ্যমে পেমেন্ট করতে চান সেই মাধ্যমটি সিলেক্ট করে নিয়ে পেমেন্ট করার কাজ সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

যখনই পেমেন্ট করার কাজ কাজ সম্পন্ন করে নিবেন তখন আপনি চাইলে পেমেন্ট করার যে চালান কপি রয়েছে সেটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। পেমেন্ট করার চালান কপি যথাযথভাবে ডাউনলোড করে নিন এবং যদি আপনার কম্পিউটার কিংবা মোবাইল ডিভাইসে রেখে দিন।

ধাপ ৮ – পেমেন্ট চালান কপি আপলোড এবং আবেদন সম্পন্ন

পেমেন্ট করার কাজ এবং আবেদন করার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে এবার আপনাকে পেমেন্ট চালান কপি আপলোড করে দিতে হবে এবং এর মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে হবে।

পেমেন্ট চালান কপি আপনি যদি আপলোড দিয়ে দেন তাহলে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন আবেদন করার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

চালান কপি ২ ভাবে আপলোড করা যায়। যেখানে এ চালানে এবং অফলাইনে চালানের নির্দেশনা দেওয়া ছিলো তার নিচে ২ নং অপশনে Scan and click here to upload the Callan লেখা আছে, সেখান থেকে চালান কপি আপলোড করা যাবে।

অথবা উপরের মেনু থেকে MY Account বাটনে চাপ দিলে আবেদনের ডান পাশে Automated Chalan (A- Chalan) Upload বাটনে ক্লিক দিলে চালান নাম্বার দেওয়া ঘর এবং চালান ফাইল আপলোডের ঘর আসবে। 

এখানে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেমেন্ট করার ফাইলটি আপলোড করে নিতে পারবেন।

পেমেন্ট চালান আপলোডের পরে এবং আবেদনের সর্ব শেষ ধাপ “Done” । এই অপশনে আবেদনকারীর নাম, পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল, রেফারেন্স নাম্বার দেওয়া থাকবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ঘরে বসে - Police Clearance (শুরু থেকে শেষ অব্দি)

এবং নিচে ডান পাশে বাটনে চাপ দিলেই আবেদনের সব কাজ শেষ।

এই তথ্যটি আপনি যদি আপলোড করে দেন তাহলে পুলিশ আবেদন করার যে সমস্ত ধাপ ছিল, সেগুলো আপনি পাড়ি দিতে পেরেছেন বলে গণ্য করা হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন চেক করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে যখন আপনি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার কাজ সম্পন্ন করে নিবেন তখন আপনার আবেদন বর্তমান কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটি চেক নেয়ার প্রয়োজন করতে পারেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আপনি যদি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন চেক করে নিতে চান তাহলে নিম্নলিখিত লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন চেক করার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

জেনে নিন: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার নিয়ম

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করা নিয়ে কিছু সচরাচর জিজ্ঞাসা (FAQs)

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ফি কত?

আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করতে চান, তাহলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ফি ৫০০ টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন ফি ৫০০ টাকা।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেলিভারির সময় কত দিন?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ডেলিভারি আপনি কখন পাবেন সেটি নির্ভর করবে আপনার এরিয়া এর উপরে। আপনি যদি ঢাকার ভিতরে থাকেন তাহলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের ডেলিভারি পেয়ে যেতে পারেন।

ঢাকার বাইরে থাকলে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সেই কাংখিত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ডেলিভারি পেয়ে যেতে পারেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে কি করবো?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার পরে আপনার আবেদন যদি নাকোচ হয়ে যায় তাহলে আপনার করণীয় কি?

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন রিজেক্ট হওয়ার পরে করনীয় কাজগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

আবেদনের তথ্যের ভুল হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করতে হবে।

  • ব্যাক্তির নামে রাষ্ট্র বিরোধী অথবা কোন ফৌজদারি মামলা থাকলে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পূর্বের মামলা সমাপ্তি ঘটিয়ে তারপরে আবেদন করতে হবে।
  • পেমেন্ট ভেরিফিকেশনে কোন সমস্যা হলে। আপনি যদি সফলভাবে পেমেন্ট করেন তারপরেও যদি পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে কোন রকমের সমস্যা দেখা দেয় কিংবা আপনার যদি ইনভয়েস আইডি না মিলে সেক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আবেদনকারীর ঠিকানা ভুল হলে। কোন কারণে যদি আবেদনকারী ঠিকানা ভুল প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে আবেদন রিজেক্ট হয়ে যাবে।
  • আপনি যে আবেদন করেছেন সেই আবেদনের সাথে আপনার ডকুমেন্ট যদি না মিলে সে ক্ষেত্রে আপনারা আবেদন নাকোচ করা হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার যে নিয়ম রয়েছে কিংবা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স অনলাইন এর মাধ্যমে কিভাবে আবেদন করতে হয় সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উপরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

7 − two =

Scroll to Top