ই পাসপোর্ট করার নিয়ম – নতুন পাসপোর্ট আবেদন

আপনি যদি অনলাইনে মাধ্যমে কিংবা অফলাইনের মাধ্যমে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করতে চান কিংবা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিতে চান তাহলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য একটি অনন্য গাইড হতে চলেছে।

কারণ এই আর্টিকেল থেকে আপনি চাইলে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কিংবা আবেদন করা রিলেটেড যতগুলো তথ্য রয়েছে, সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

অর্থাৎ একেবারে শূন্য থেকে শিখরে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম, যা অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম কিংবা পাসপোর্ট করতে কি কি রকমের তথ্য প্রয়োজন হবে, সেই সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন।

সেজন্য আর দেরি না করে এখনি আর্টিকেলটির শুরু করা যাক এবং পাসপোর্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য গুলো জেনে নেয়া যাক।

পাসপোর্ট কারা করতে পারবেন?

আপনি যদি বাংলাদেশী পাসপোর্ট করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের অধিবাসী হতে হবে। যে কারো বয়স ১ দিন থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের হয়ে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি চাইলে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন।

তবে পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয় এবং বেশ কিছু তথ্য দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে হয়।

এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য বেশকিছু পর্যায় কিংবা ধাপ রয়েছে, যেগুলো আপনাকে সঠিকভাবে ডিঙিয়ে তারপরে আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে ?

একদম স্বাভাবিকভাবে সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি জেনে নিতে হবে সেটি হল আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদন করতে চান, তাহলে পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি রকমের তত্ত্বের প্রয়োজন হবে।

ভিন্ন ভিন্ন বয়সের ব্যক্তিবর্গের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার তথ্যের যে সমস্ত বিষয়টি রয়েছে, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন হয়ে থাকে।

অর্থাৎ; প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার যে সমস্ত তথ্যের প্রয়োজন হয়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে সেইসমস্ত তত্ত্বের গরমিল দেখা যায়।

অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট আবেদন করার শর্ত

আপনি যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকেন কিংবা আপনার বয়স ১ বছর থেকে ১৮ বছরের ভিতরে হয়ে থাকে তাহলে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত তথ্যের প্রয়োজন হবে সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো:

  • পাসপোর্ট আবেদন ফরম এর প্রয়োজন হবে।
  • পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি এবং ফটোকপি এর প্রয়োজন হবে।
  • যে ব্যক্তি পাসপোর্ট করতে চায় সেই ব্যক্তির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এক কপি 3R সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ছবি হতে হবে। এই ছবিটি অবশ্যই ল্যাব প্রিন্ট হতে হবে।
  • পিতা-মাতা উভয়ের দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে।
  • এক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পেশা যাচাই-বাছাই না করাতে চান, তাহলে যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির পাসপোর্ট আবেদন করবেন, সেই ব্যক্তির পেশা ডিপেন্ডেন্ট সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
  • নাগরিকত্ব সনদের প্রয়োজন হবে।

একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত তথ্যের প্রয়োজন হবে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগবে?

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বা যে ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর বা তার উর্ধ্বে রয়েছে সেই ব্যক্তি যদি ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে পাসপোর্ট আবেদন করতে চান, তাহলে পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়?

  • সর্বপ্রথম তথ্য হিসেবে e-passport আবেদনের প্রিন্ট কপি এর প্রয়োজন হবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি এর প্রয়োজন হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে। সেটি না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য শিক্ষাগত সনদের প্রয়োজন হবে।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট লাগতে পারে সেজন্য এটিকে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে।
  • ঠিকানা প্রমাণের জন্য ইউটিলিটি বিল এবং নাগরিকত্ব সনদের প্রয়োজন হবে।
  • পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকুরীর আইডি কার্ড (পেশাজীবির ক্ষেত্রে- যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক, আইনজীবি)
  • অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে সামারি কপি এর প্রয়োজন হবে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে।

এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক বয়সের ব্যক্তিদের জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত তত্ত্বের প্রয়োজন হয়, সেই সম্পর্কিত তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে চাইলে নিম্নলিখিত আর্টিকেলটি দেখে নিতে পারেন।

জেনে নিন: পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি লাগে?

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটি দেখে নিলে আপনি এই সম্পর্কে নিশ্চিত অবস্থানে থাকতে পারবেন যে পাসপোর্ট আবেদন করতে আসলে কি কিরকম তথ্যের প্রয়োজন হয়।

অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম

আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে করতে চান, তাহলে কি রকমের পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে? কিংবা কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করার মাধ্যমে কিভাবে আপনি চাইলে সফলভাবেই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন?

ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম জানার জন্য, কিংবা ই পাসপোর্ট করে নেয়ার যে সমস্ত তথ্যাবলী রয়েছে সেই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

একদম সর্বপ্রথম তথ্য হিসেবে আপনাকে সর্বপ্রথম নিম্নলিখিত লিংকে ভিজিট করতে হবে।

যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করবেন তখন আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য যে সমস্ত তথ্য দিয়ে বক্স ফিলাপ করতে হয়, সে সমস্ত বক্স গুলো পেয়ে যাবেন।

ধাপ ১: আপনার অঞ্চলে ই-পাসপোর্ট রয়েছে কিনা সেটা চেক করা

যখনই আপনি উপরে উল্লেখিত লিংকে ভিজিট করবেন তখন আপনাকে আপনার জেলা সিলেক্ট করে নিতে হবে এবং তারপরে আপনার নিকটস্থ যে পুলিশ স্টেশন রয়েছে; সেটি সিলেক্ট করে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনি বাংলাদেশে বসে নাকি বিদেশে বসে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম জেনে নেয়ার মাধ্যমে নতুন পাসপোর্ট আবেদন করছেন সেটি নির্বাচন করে নিতে হবে।

আপনার জেলা এবং নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন যথাযথভাবে সিলেক্ট করে নেয়ার পরে কন্টিনিউ বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট আবেদন নিয়ে যত তথ্য

ধাপ ২: ইমেইল এড্রেস

এবার দ্বিতীয় ধাপে ; আপনাকে এমন একটি ইমেইল এড্রেস সিলেক্ট করে নিতে হবে, যে ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে আপনি পাসপোর্ট আবেদন করবেন।

পাসপোর্ট সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্যবলী রয়েছে, সে সমস্ত তথ্যাবলী আপনি এই ইমেইল এড্রেস এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এছাড়াও লগইন করার ক্ষেত্রে এই ইমেইল এড্রেস এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

সেজন্য আপনার সর্বাধিক ব্যবহৃত যে ইমেইল এড্রেস রয়েছে, সেটি বসিয়ে দিন এবং তার পরে পুনরায় কন্টিনুয়ে বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট আবেদন নিয়ে যত তথ্য

যখনই আপনি ইমেইল এড্রেস দিয়ে দিবেন এবং কন্টিনুয়ে বাটনে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনি অন্য আরেকটি পেজে চলে যেতে পারবেন।

এই পেজটিতে আপনাকে আপনার ই-মেইল এড্রেসটি পুনরায় বসিয়ে দিতে হবে এবং তারপরে আপনার অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, সে সমস্ত তথ্য গুলো বসিয়ে দিতে হবে।

অর্থাৎ ; পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট পুনরায় আবেদন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড নির্বাচন করে নিতে হবে, যাতে করে আপনি লগইন করতে পারেন।

এছাড়াও আপনার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী আপনার অ্যাকাউন্টের জন্য নাম এবং অন্যান্য তথ্যগুলো সম্পৃক্ত করে নিতে হবে।

সমস্ত তথ্যগুলো যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করে নিন এবং তারপরে “Create account ” বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট আবেদন নিয়ে যত তথ্য

সমস্ত তথ্য যথাযথভাবে দেয়ার পরে আপনার ইমেইল এড্রেস একটি কনফারমেশন ইমেইল যাবে। সেটি কনফার্ম করার মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার কাজ নিশ্চিত করে নেবেন।

ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই করা

যখন আপনি ইমেইল এড্রেস দেয়ার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিবেন তখন ইমেইল এড্রেস ভেরিফাই করে নেয়ার পরে ই-পাসপোর্টের ওয়েবসাইটে লগইন করে নিন।

লগইন করে নেয়ার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে Apply for a new Passport নামের যে বাটন পাবেন, সে বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - নতুন পাসপোর্ট আবেদন

এবং তারপরে; Passport Type হিসেবে সাধারণ পাসপোর্ট হলে Ordinary এবং সরকারি আদেশে বা NOC এর মাধ্যমে পাসপোর্ট হলে Official সিলেক্ট করুন।

এবং তারপরে save and continue বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিন।

যখনই আপনি সেভ এন্ড কন্টিনিউ বাটন এর উপরে ক্লিক করে দিবেন, তখন আপনি আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য দেয়ার মত অপশন পেয়ে যাবেন।

অর্থাৎ আপনার ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে আপনার যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, সে সমস্ত তথ্য গুলো ইংরেজিতে যথাযথভাবে ফিলাপ করে দিন।

মনে রাখবেন, তথ্যগুলো ফিলাপ করার সময় অবশ্যই সঠিক ফরমেটে সে সমস্ত তথ্য গুলো দিবেন। কারণ তত্ত্ব যদি গরমিল করেন তাহলে পাসপোর্ট সংশোধন করার বিষয়টি খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া।

সেজন্য, প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে দিন এবং তারপরে “Save and Continue” বাটনে উপরে ক্লিক করে দিন।

যখনই আপনি এই অপশনটি যথাযথভাবে ফিলাপ করে দিবেন, তারপরে আপনাকে অন্য আরেকটি অপশন এ নিয়ে যাওয়া হবে।

ধাপ ৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০: এসমস্ত প্রত্যেকটি অপশনে যথারীতি ভাবে আপনার ঠিকানা এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সম্পর্কিত যে সমস্ত তথ্যাবলী রয়েছে প্রত্যেকটি তথ্য দিয়ে ফিলাপ করে নিতে হবে।

এবং একদম সর্বশেষে আপনি কোথা থেকে পাসপোর্ট ডেলিভারি নিবেন, সেই সম্পর্কিত তথ্য সম্পৃক্ত করে নেয়ার কাজ সম্পন্ন করে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনি চাইলে নির্দিষ্ট একটি দিনের জন্য এপার্টমেন্ট নিতে পারবেন এবং তারপরে সমস্ত তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে নেয়ার পরবর্তী সময়ে পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করে নিতে হবে।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম - পাসপোর্ট আবেদন নিয়ে যত তথ্য

সমস্ত তথ্য যদি সঠিকভাবে দেয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায় তাহলে আপনি পাসপোর্ট আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন।

যদি আপনার পাসপোর্ট আবেদন করার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়, তাহলে আপনি চাইলে একাউন্টে লগইন করার মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কিত তথ্য দেখে নিতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি এটা দেখে নিতে পারবেন যে, আপনার পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে কিনা।

যদি আপনার পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে যায়;  তাহলে আপনি সেটি পাসপোর্ট একাউন্টে ড্যাশবোর্ড  থেকে দেখে নিতে পারবেন।

যেখানে লেখা থাকবে আপনার পাসপোর্ট আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।

কত ধরনের পাসপোর্ট আবেদন করা যায়?

আপনি চাইলে ভিন্ন তিন ক্যাটাগরিতে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন কিংবা যেকোন মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।

আপনি চাইলে অতি জরুরী, জরুরী এবং সাধারন এই তিনটি ক্যাটাগরির মধ্যে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এ সমস্ত ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিতে পারবেন।

এসমস্ত ক্যাটাগরিতে পাসপোর্ট আবেদন করার মূল কারণ হলো, পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট আগে-পিছে করিয়ে নেয়া। অর্থাৎ আপনি যদি অতি জরুরী অবস্থার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট এর সময়সীমা হবে ৩ কর্মদিবস।

এছাড়াও আপনি যদি সাধারন পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে পাসপোর্ট ডেলিভারি সময়সীমা হবে ২১ কর্মদিবস। মোটকথা হলো; আপনি তাড়াতাড়ি পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য অতি জরুরী কিংবা জরুরি অবস্থায় পাসপোর্ট আবেদন করতে পারেন।

পাসপোর্ট আবেদন ফি কত টাকা?

যেকোনো উপায়ে আপনি যদি পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। আপনি আপনার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী পাসপোর্ট আবেদন ফি নির্ধারণ করে নিতে পারবেন।

অর্থাৎ বিভিন্ন রকমের আবেদন ফি এর মধ্যে আপনি চাইলে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন এবং এই সমস্ত ফি পরিশোধ করার মাধ্যমে আবেদন করার কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

পাসপোর্ট আবেদন ফি হিসেবে যত টাকা বরাদ্দ রয়েছে, সে সম্পর্কিত তথ্য নিচে থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

৫ বছরের মেয়াদ সম্বলিত ৪৮ পাতার পাসপোর্ট

আপনি যদি ৫ বছর মেয়াদ সম্বলিত ৪৮ পাতার পাসপোর্ট আবেদন করে থাকেন, তাহলে এই পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ফি আপনাকে দিতে হবে সেটি নিচে তুলে ধরা হলো।

  • নিয়মিত পাসপোর্ট: ১৫ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৪,০২৫ টাকা
  • জরুরী পাসপোর্ট: ৭ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৬,৩২৫ টাকা
  • অতি জরুরী পাসপোর্ট: ২ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৮,৬২৫ টাকা

১০ বছরের মেয়াদ সম্বলিত ৪৮ পাতার পাসপোর্ট

এছাড়াও আপনি যদি ১০ বছর মেয়াদের জন্য ৪৮ পাতার একটি পাসপোর্ট আবেদন করেন তাহলে এই পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরির জন্য আপনাকে যত টাকা বরাদ্দ দিতে হবে, সেটি নিচে তুলে ধরা হলো।

  • নিয়মিত পাসপোর্ট- ১৫ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৫,৭৫০ টাকা
  • জরূরী পাসপোর্ট- ৭ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৮,০৫০ টাকা
  • অতি জরুরী পাসপোর্ট- ২ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ১০,৩৫০ টাকা

৫ বছরের মেয়াদ সম্বলিত ৬৪ পাতার পাসপোর্ট

৫ বছর মেয়াদ সম্বলিত ৬৮ পাতার পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে যে সমস্ত ফি দিতে হবে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

  • নিয়মিত পাসপোর্ট- ১৫ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৬,৩২৫ টাকা
  • জরূরী পাসপোর্ট- ৭ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৮,৩২৫ টাকা
  • অতি জরুরী পাসপোর্ট- ২ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ১২,০৭৫ টাকা

১০ বছরের মেয়াদ সম্বলিত ৬৪ পাতার পাসপোর্ট

এছাড়াও ১০ বছর মেয়াদের জন্য ৬৪ পাতার পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ফি বরাদ্দ হবে, সেগুলো সম্পর্কিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো।

  • নিয়মিত পাসপোর্ট– ১৫ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ৮,০৫০ টাকা
  • জরূরী পাসপোর্ট- ৭ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ১০,৩৫০ টাকা
  • অতি জরুরী পাসপোর্ট– ২ কর্মদিবসের মাঝে প্রদানঃ ১৩,৮০০ টাকা

আপনি যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পারবেন, বিভিন্ন মেয়াদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনাকে ভিন্ন রকমের ফি পরিশোধ করতে হবে।

অর্থাৎ জরুরি অবস্থার জন্য পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ফি এর প্রয়োজন হবে, অতি জরুরি অবস্থায় আবেদন করার ক্ষেত্রে তার চেয়ে বেশি ফিসের প্রয়োজন হবে।

ঠিক একই রকমভাবে; সাধারণ পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম আবেদন ফি এর প্রয়োজন হবে।

পাসপোর্ট আবেদন করার পরবর্তী পদক্ষেপ

পাসপোর্ট আবেদন করার পরবর্তী সময়ে আপনাকে বেশ কিছু পদক্ষেপ পাড়ি দিয়ে তারপরে পাসপোর্ট নিজের কাছে নিয়ে আনার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে হয়।

পাসপোর্ট আবেদন করার পরে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে আপনাকে যেই দুইটা পাড়ি দিতে হয় সেটি হল:

  • পুলিশ ভেরিফিকেশন।
  • বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান।

তাহলে আর দেরি না করে এখনই এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে নেয়া যাক।

পুলিশ ভেরিফিকেশন

পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ধাপটি পারি দিতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার যদি কোন রকমের তত্ত্বের গরমিল থেকে থাকে, তাহলে আপনি এই ধাপটি পাড়ি দিতে পারবেন না।

কিংবা আপনি যদি কোনো মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রে এই ধাপটি পাড়ি দিতে সক্ষম হবেন না।

এক্ষেত্রে আপনার দেয়া প্রত্যেকটি তথ্য যদি সঠিক থেকে থাকে এবং আপনি যদি কোন রকমের সাজাপ্রাপ্ত মামলার আসামি না হয়ে থাকেন, তাহলে এই ধাপটি সহজেই পাড়ি দিতে পারবেন।

পুলিশ ভেরিফিকেশন এ যাওয়ার সময় যে সমস্ত তথ্য সাথে নিয়ে যেতে হবে সেগুলো হলো:

  • সর্বপ্রথম পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে নিতে হবে।
  • তারপরে আবেদন করার সময় আপনি নিজেই পুলিশ স্টেশনের নাম দিয়েছেন, সেই পুলিশ স্টেশনে চলে যেতে হবে।
  • এক্ষেত্রে আপনি যদি তথ্য নিয়ে কোনো রকমের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাথে যোগাযোগ করে সেই বিষয়টি খোলাসা করতে পারেন।

আর পুলিশ ভেরিফিকেশন ধাপটি যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়ে গেলে,পাসপোর্ট করার জন্য আপনি আরেকটি ধাপ এগিয়ে যাবেন।

ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করা

অনলাইনে কিংবা অফলাইনে পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পাড়ি দিতে হয়। আর সেটি হল নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করা।

পাসপোর্ট আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন করে নেয়ার জন্য আপনি যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে চান, তাহলে আপনাকে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে চলে যেতে হয়।

এবং সেখানে নির্দিষ্ট তথ্য দেয়ার পরে; ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে নিতে হবে।

যখন আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার জন্য যাবে তখন আপনার সাথে যে সমস্ত তথ্য নিয়ে যেতে হবে সে সমস্ত তথ্য গুলো হল:

  • আবেদনপত্রের সারংশের প্রিন্ট কপি (অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ)। আপনি যে আবেদন করেছেন এবং সেটি দাখিল হয়েছে সে সম্পর্কিত কাগজ সাথে নিয়ে যেতে হবে।
  • শনাক্তকরণ নথির প্রিন্ট কপি (জাতীয় পরিচয় পত্র/ জন্ম নিবন্ধন নম্বর সম্বলিত কার্ড সাথে নিয়ে যেতে হবে।
  • আপনার পেমেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটি প্রমাণের জন্য পেমেন্ট স্লিপ সাথে নিয়ে যেতে হবে।
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এবং ডাটা পেজের প্রিন্ট কপি যদি থেকে থাকে তাহলে সেটি সাথে নিতে হবে।
  • যদি তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন হয় তাহলে তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে হবে।
  • এছাড়াও আপনি চাইলে আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে যেতে পারেন। যদিও অনেক ক্ষেত্রে এটির কোন প্রয়োজন হয় না৷

পাসপোর্ট আবেদন করার কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন?

আপনি যদি সফলভাবে সমস্ত পদক্ষেপ অনুসরণ করে পাসপোর্ট আবেদন করার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করেন, তাহলে আবেদন করার কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাবেন?

অথবা পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট সম্পর্কে কিভাবে আপনি জানতে পারবেন? এক্ষেত্রে আপনি যদি পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট সম্পর্কে অবগত হতে চান, তাহলে নিম্নলিখিত আর্টিকেলে দেখে নিতে পারেন।

জেনে নিন: পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট কবে?

উপরে উল্লেখিত আর্টিকেলটি দেখে নিলে আপনি পাসপোর্ট আবেদন শেষ করার পরে পাসপোর্ট ডেলিভারি ডেট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। এবং এইভাবে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম কি অনলাইনে কিংবা অফলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয়াদি প্রয়োজন হবে, সে সমস্ত তথ্য সম্পর্কে এই আর্টিকেল আলোচনা করা হয়েছে।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eleven − four =

Scroll to Top